বাংলা সাহিত্য

শব্দার্থ ও টীকা

নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) - বাংলা সাহিত্য - গদ্য | NCTB BOOK

গর্ভের কলঙ্ক – সন্তান হিসেবে কলঙ্ক, গর্ভ হলো মায়ের পেট যে ব্যক্তি বা বস্তুকে পরিবারে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয় তা হলো কলঙ্ক।

সুদীর্ঘ পল্লববিশিষ্ট - বড়ো পাতাবিশিষ্ট, দীর্ঘ হলো বড়ো, ‘সু’ যুক্ত হয়ে ‘বড়ো’কে বিশেষায়িত করা হয়েছে। পল্লব হলো পাতা। এখানে চোখের পাতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ওষ্ঠাধর – ওষ্ঠ এবং অধর, উপরের ও নিচের ঠোঁট [ওষ্ঠ+অধর = ওষ্ঠাধর] কিশলয় - গাছের নতুন পাতা। তর্জমা – অনুবাদ, এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় বলা বা লেখা । অস্তমান – · ডুবন্ত, ডুবে যাচ্ছে এমন, চন্দ্র-সূর্যের পশ্চিম দিকে অদৃশ্য অবস্থা। অনিমেষ – অপলক, পলকহীন, উদয়াস্ত – উদয় + অস্ত = উদয়াস্ত, আবির্ভাব ও তিরোভাব, উঠা ও ডুবা । ছায়ালোক - ছায়া + আলোক = ছায়ালোক। কোনো বস্তুর ওপর আলো পড়লে যে প্রতিবিম্ব হয় তা হলো ছায়া। বিজন – জনশূন্য, নির্জন। মহত্ত্ব - অবদান। বিজন মহত্ত্ব – কোলাহলমুক্ত প্রকৃতির অবস্থার যে আকর্ষণীয় দিক। তন্বী – ক্ষীণ ও সুগঠিত অঙ্গবিশিষ্ট। বাঁখারি - কাঁধের দুদিকে দুপ্রান্তে ঝুলিয়ে বোঝা বহনের বাঁশের ফালি। ঢেঁকিশালা – যে ঘরে ঢেঁকি রাখা হয়। ঢেঁকি হলো ধান থেকে চাল তৈরির লোকজ যন্ত্র । এখনো গ্রামীণ জীবনে অনেক বাড়িতে ঢেঁকির ঘর আছে। গার্হস্থ্য সচ্ছলতা - পারিবারিক দৈনন্দিন জীবনের সচ্ছলতা। চিরনিস্তব্ধ হৃদয় উপকূল – শান্ত হৃদয়। নিস্তব্ধ হলো আলোড়নহীন অবস্থা। উপকূল হলো কূলের সদৃশ। এখানে হৃদয় উপকূল বলতে হৃদয়ের কিনারার কথাই বলা হয়েছে। ঝিল্লিরবপূর্ণ - ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ/শব্দে মুখর। বিজনমূর্তি – নির্জন অবস্থা। বিজন হলো নির্জন বা জনমানবশূন্য, মূর্তি হলো কোনোকিছুর প্রতিকৃতি। বিজনমূর্তি শব্দটি এখানে কোলাহলহীন অবস্থা বা নির্জন/জনমানবশূন্য অবস্থা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। গণ্ডদেশ — গাল। মূক – বধির, বোবা। বিষাদশান্ত – দুঃখমগ্ন, বিষাদ - স্ফূর্তিশূন্যতা, বিষণ্ণতা। বিষাদশান্ত হলো খুববেশি বিষাদগ্রস্ততা থেকে যে শান্ত অবস্থা। পূর্ণিমাতিথি – চাঁদের পরিপূর্ণ রূপ হওয়ার সময়। কন্যাভারগ্রস্ত পিতা-মাতা- যে পিতা-মাতার বিবাহযোগ্যা কন্যা সন্তানের বিয়ে হয়নি। কপোল - গাল। নেত্রপল্লব - চোখের পাতা। শুক্লাদ্বাদশী – চাঁদের বারোতম দিন ।

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion